তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনের পক্ষে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) শহরের বেয়োলু এলাকায় প্রধান বিরোধীদল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (CHP) ডাকে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভটি শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানবিরোধী স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের হস্তক্ষেপ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানকে “অবৈধ” আখ্যা দিয়ে তা বন্ধে হুঁশিয়ারি দেয়।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাকসিম স্কয়ারের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে ঢাল ব্যবহার করে এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে তাদের পিছু হটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মতপ্রকাশের অধিকারকে দমন করতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে।
এই ঘটনার ফলে ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রস্থলে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। এখন পর্যন্ত কতজনকে আটক বা আহত করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
তুরস্কে ফিলিস্তিন ইস্যুতে জনমত বরাবরই সক্রিয়। তবে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, সরকার ফিলিস্তিনের প্রতি একতরফা সমর্থন দেখালেও, কার্যত কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না। শনিবারের এই বিক্ষোভও ছিল এরদোয়ান সরকারের ফিলিস্তিন নীতির প্রতিবাদে আয়োজিত।
এই সংঘর্ষের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে এমন দমনমূলক পদক্ষেপ তুরস্কের গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করে।