ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন মাসের মাথায় আবারও ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির অন্তত ৪০০টি স্থানে গণবিক্ষোভে অংশ নেয় লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক। কঠোর অভিবাসন নীতি, গাজা সংকটে ইসরায়েলকে একচোখা সমর্থন, শিক্ষা খাতে বাজেট কাটছাঁট, অতিরিক্ত শুল্কারোপসহ একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই গড়ে উঠেছে এই গণআন্দোলন। খবর বিবিসির।
নিউইয়র্ক, শিকাগো, ওয়াশিংটন ডিসি—দেশের নানা শহরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, মানবাধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক সচেতন জনগণ।
নিউইয়র্কের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন শত শত মানুষ। সেখান থেকে মিছিল করে তারা অগ্রসর হন ম্যানহ্যাটনের রাজপথ ধরে। ‘নো কিংস ইন আমেরিকা’ স্লোগানে তারা জানান দেন, মার্কিন গণতন্ত্রে একনায়কতন্ত্রের কোনো জায়গা নেই। জাতীয় পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে প্রতিবাদ জানান বর্তমান প্রশাসনের নীতিমালার বিরুদ্ধে।
শিকাগোর রাজপথও ছিল একই চিত্র। সেখানে শুধু ট্রাম্প নয়, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ককেও কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তাদের বিরুদ্ধে ‘জনস্বার্থ উপেক্ষা করে ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার’–এর অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও তারা পিছু হটেননি। ব্যঙ্গচিত্র, ব্যানার এবং স্লোগানের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করেন তারা। অনেকেই ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে তাকে হিটলার ও স্টালিনের সাথেও তুলনা করেন।
বিক্ষোভটি সংগঠিত করে ‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন, যারা শনিবার ৫০টি রাজ্যে একযোগে ৫০টি প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে অন্তত ৪০০টি স্থানে সফলভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে আরেকটি ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল গোটা যুক্তরাষ্ট্র।