ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তেজনার ছায়া। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন না পেলেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে এককভাবে সীমিত আকারে হামলার পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে ইসরাইল। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এক সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তা ও দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আপাতত ইরানের বিরুদ্ধে এমন সামরিক অভিযানে জড়াবে না। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তেহরানকে পারমাণবিক শক্তি অর্জন থেকে বিরত রাখতে হলে কূটনৈতিক আলোচনা নয়, বরং সরাসরি সামরিক পদক্ষেপই একমাত্র কার্যকর উপায়।
যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ইতালির রাজধানী রোমে দ্বিতীয় দফার আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই ইসরাইলের এই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে এসেছে, মে মাসের শুরুতেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে চায় ইসরাইল।
নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এই হামলার মূল লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে অন্তত এক বছর পিছিয়ে দেওয়া। পরিকল্পনায় রয়েছে সমন্বিত বিমান হামলা ও কমান্ডো অভিযান। ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রকে এই অভিযানে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিলেও, ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে আলোচনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
ওভাল অফিসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উপস্থিতিতে ট্রাম্প বলেন, “ইরান একটি মহান দেশ হয়ে উঠতে পারে। আমরা চাই তারা শান্তিতে বাঁচুক, কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে এটা হতে দেওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনোই ‘প্রত্যাখ্যান’ বলিনি, তবে এ বিষয়ে হুট করে কিছু করতে চাই না। ইরানের সঙ্গে আলোচনাই আমার প্রথম পছন্দ। দ্বিতীয় বিকল্পটি ইরানের জন্য খুবই খারাপ হতে পারে।”