ওয়াশিংটন, ১৬ এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সম্প্রতি চীনা পণ্যের ওপর শুল্কহার ১৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ অংশ হিসেবে এই শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যকার এ শুল্কসংঘাত যেন থামার নামই নিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে। তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় চীনা পণ্যের ওপর একের পর এক শুল্ক আরোপ করে চলেছে ওয়াশিংটন।
চলতি বছরের শুরুতে চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে এই শুল্কযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ২ এপ্রিল আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। চীনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন আবারও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে।
এতেই শেষ নয়। ১০ এপ্রিল আরও এক দফা বৃদ্ধি করে শুল্কহার দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশে। পরদিন ১১ এপ্রিল চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
সবশেষে, ১৫ এপ্রিল হোয়াইট হাউস জানায়, চীনের প্রতিশোধমূলক নীতির জবাবে এবার চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক উত্তেজনা নতুন এক রূপ পেয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই আমেরিকার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতির বাস্তবায়ন শুরু করেন। ইতোমধ্যেই ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদের ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে চীন এই তালিকার বাইরে, কারণ তারা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”