ঢাকা, ১৩ এপ্রিল:
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬,৩৮৬ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই গ্রস রিজার্ভ পরিমাপ করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃক নির্ধারিত হিসাব পদ্ধতি BPM6 অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা কম — ২১,১১৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের ঋণ শর্ত পূরণে নিট রিজার্ভ একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুনের মধ্যে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি। তবে বর্তমান নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করছে, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬.১৫ বিলিয়ন ডলার এবং BPM6 অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার। আর ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫,৬২৫ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ছিল ২০,৪৬০ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার। মার্চ মাসের শেষ দিকে, ২৭ তারিখ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৫,৪৪০ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন এবং ২০,২৯৬ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করে দেশের রিজার্ভে অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশাবাদ, জুনের মধ্যে আইএমএফের নিট রিজার্ভ সংক্রান্ত শর্ত পূরণ সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, নিট রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয় মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, এটি বৈদেশিক লেনদেনে দেশের সক্ষমতা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক।