ঢাকা, ১১ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বর্ণাঢ্য ও উৎসবমুখরভাবে উদযাপন করতে এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র পরিবর্তে হবে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বর্ষবরণ উৎসব পালিত হবে “নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান” এই প্রতিপাদ্যে। মূল আয়োজনের নেতৃত্বে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং চারুকলা অনুষদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ও নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, চারুকলা অনুষদের ডিন ও আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপকমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট উপকমিটির সদস্যরা।
চারুকলা অনুষদের ডিন ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ জানান, এবারের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ হবে আগের সব বছরের চেয়ে বৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় থাকছে জাতিগত বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সময় থেকেই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের দাবি উঠেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে। সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পূর্বেই জানিয়েছিলেন যে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, আশির দশকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ স্বীকৃতি অর্জিত হয়, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গৌরবময় অধ্যায়।