ঢাকা, ৭ এপ্রিল:
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মসূচি। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে মার্কিন দূতাবাস ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থী ও তরুণরা।
বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এতে সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিলটি ঘিরে ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাসদস্য। গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা现场ে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মার্কিন দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সেনাসদস্যরা মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন, চলছে কড়া তল্লাশি। সাধারণ মানুষকে ফুটপাত বা রাস্তায় দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি।
দুপুর ১২টার দিকে নতুন বাজার সড়কের এক পাশ খুলে দেওয়া হয় এবং যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলমান ছিল।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, “ফিলিস্তিন গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এখন দরকার মুসলিমদের এক হওয়ার সময়। জিহাদের প্রথম ধাপ হচ্ছে এই বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ।”
এছাড়া, সকাল থেকেই বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়েছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ধামরাই, আশুলিয়া ও শাহবাগ মোড়ে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
এদিকে, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরাও। গ্লোবাল স্ট্রাইকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে প্রতিবাদী কর্মসূচি।
৬ এপ্রিল গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয় ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ও ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। এটি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় গঠিত একটি জোট, যা মারওয়ান বারগুতি এবং ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই তথ্য ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এবং আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে।
