কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি জানান, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে এবং আমন ধানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ইতোমধ্যে আমদানি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার ভাতশালা হাওরের বোরো ধান ক্ষেত পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “হাওরসহ সারাদেশে এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আবহাওয়া সহায় হয়, তবে খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কৃষক ও জিরাতিরা হলো দেশের উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তাদের কঠোর পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসলই আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
উপদেষ্টা হাওরের কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা শুনে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন। বিশেষ করে সেচ সমস্যা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানযোগ্য পানির অভাব, সার ও বীজের প্রাপ্যতা এবং ফসল সংরক্ষণের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “মেঘনাসহ দেশের বড় বড় নদ-নদী বর্তমানে নাব্য সংকটে রয়েছে। হাওরের খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার উন্নয়নে সরকার নিয়মিত খনন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”
আলী ইমাম মজুমদার জানান, বর্তমানে হাওরের কৃষকরা শুধু ধান চাষেই সীমাবদ্ধ নন, বরং ভুট্টা, শাকসবজি, হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষসহ নানা ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন। এজন্য হাওর এখন একটি সম্ভাবনাময় জনপদে রূপ নিচ্ছে।
সরকার হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অষ্টগ্রামের ইউএনও দিলশাদ জাহান এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ সরকার।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা জানান, কৃষক ও জিরাতিদের সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসককে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।