ঢাকা: চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলের নেতারা মনে করছেন, সরকার ইসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সীমানা পুনঃনির্ধারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছে না, কারণ সরকার “ডিলিমিটেশন অ্যাক্ট” সংশোধন করছে না। তিনি বলেন, “আইনে মুদ্রণজনিত ত্রুটি থাকলেও সেটি সংশোধন করা হয়নি। এতে স্পষ্ট যে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে দিচ্ছে না।”
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেন, “হেরে যাওয়ার ভয়ে একটি গোষ্ঠী নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চাইছে না। তারা ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে ক্ষমতার অংশীদার হতে চাচ্ছে। নির্বাচনের বিলম্ব তাদের সুবিধা দেয়।”
এদিকে, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, “নির্বাচন ও সংস্কারকে আলাদাভাবে যারা দেখছেন, তাদের মধ্যে অশুভ শক্তি লুকিয়ে আছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন আগে চাওয়ার বিষয়টি সরকারের একটি কৌশল হতে পারে, যাতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যায়। গণপরিষদ বা গণভোটের প্রস্তাবও একই উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে জনমনে স্বস্তি আসবে।”
বিএনপি নেতারা স্বৈরাচারের পুনর্বাসন রোধ করতে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হতে হবে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।