ব্যাংকক, ২৮ মার্চ: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শহরের চাতুচক জেলায় একটি নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ৮০ জন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে চলছে তীব্র তল্লাশি অভিযান।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমারে, যার মাত্রা ছিল ৭.৭। ভূমিকম্পের ভয়াবহতা থাইল্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ব্যাংকক শহরে। এতে বহু ভবন কেঁপে ওঠে, অনেক স্থাপনায় ফাটল দেখা দেয়, আর আতঙ্কিত মানুষজন নিরাপত্তার খোঁজে রাস্তায় নেমে আসেন।
ঘটনার মুহূর্তে ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিশাল এই ভবনটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাটির সাথে মিশে যায়, যেন এটি তাসের ঘর! স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভূমিকম্পের সময় শহরের অনেক ভবনের ছাদের সুইমিং পুল থেকে পানি ছিটকে পড়ছিল।
থাইল্যান্ডের সরকারি সংবাদ সংস্থা এনবিটির তথ্য অনুযায়ী, ভবনটি ধসে পড়ার সময় সেখানে প্রায় ৪০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। তবে তাদের মধ্যে অন্তত ৮০ জনের কোনো খোঁজ মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্ধার কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও সতর্ক করেন যে, “আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আফটারশক হতে পারে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
ভূমিকম্পের ফলে শুধু ভবনধস নয়, রাজধানী ব্যাংককের বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই দ্রুত ভবন ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বিশেষ করে বহুতল ভবনের বাসিন্দারা ভূমিকম্পের কম্পন তীব্রভাবে অনুভব করেন।
এখনও পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে। আহত ও নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।