প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৩৬
শেখ হাসিনার আমলে বিএনপির সুবিধাভোগী নেতারাই সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সুরক্ষা কবচ হয়ে উঠেছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে গণরোষ দেখা দিলেও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এমএ মান্নান নির্বিঘ্নে তার হিজলবাড়িতে অবস্থান করছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপির একটি অংশের নেতাদের কাছ থেকে মান্নান সুবিধা পেয়েছেন। এসব নেতারাই এখন তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মরিয়া। তারা মান্নানের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে দলীয় কর্মী ও সাংবাদিকদের মারধর করতেও পিছপা হননি। বিশেষ করে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনসার উদ্দিনের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির নেতারা মান্নানকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, মান্নানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাসনাত ও নূর হোসেন এবং ভাগ্নে জাবেদসহ অন্যরাও বিএনপির সুরক্ষার অন্তর্ভুক্ত। জনগণের ভাষ্যে, মান্নানের মদদপুষ্ট হয়ে এই দুই সহোদর দুর্নীতির বরপুত্র হয়ে উঠেছিলেন।
হাসিনা সরকারের পতনের পর ফারুকপন্থী বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিজয় মিছিলের আয়োজন করে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করলেও মান্নানের বাড়ির সামনে পাহারা বসান ছাত্রদলের নেতারা। এ সময় মান্নানের সমালোচনা করায় এক ছাত্রদলকর্মী ও সাংবাদিক শহীদনূরকে মারধর করা হয়।
শহীদনূর আরটিভি ও দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। তার ওপর হামলার পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের রক্ষাকারীদের চিহ্নিত করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ জানান, তিনি মান্নানের কাছ থেকে কোনো সুবিধা পাননি। বরং মন্ত্রীর লোকজনের কারণে দায়িত্ব পালন করতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। বিএনপির সহ-সভাপতি আনসার উদ্দিন বলেন, দলের কিছু লোক বিগত সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে এখন তাদের রক্ষা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এমএ মান্নানের বক্তব্য মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।