জাতীয় নাগরিক পার্টির মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার
পঞ্চগড়, ২৬ মার্চ: জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা সরাসরি শুনতে এবং দলীয় কার্যক্রম প্রসারিত করতে গ্রামগঞ্জে ছুটছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, “আমরা তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে হয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছি এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি করতে চাই। সেই লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি।”
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর ধামোর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও জনসংযোগ করেন সারজিস আলম। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করে তিনি জানান, জনগণের প্রকৃত চাহিদা ও সমস্যাগুলো জানতে মাঠপর্যায়ে সরাসরি উপস্থিত হওয়া জরুরি।
সারজিস আলম বলেন, “এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলায় মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। জনপ্রতিনিধি হতে হলে আগে জনগণের পাশে থাকতে হবে, শুধু নির্বাচন এলেই নয়। আমরা সাধারণ মানুষের মতামত শুনে, তাদের ব্যথা-বেদনা বুঝে সে অনুযায়ী কাজ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার পার্টির নাম ও মার্কা গ্রামের মানুষের জানা দরকার। আমি নির্বাচনের সময়ই শুধু আসবো, নাকি সব সময় জনগণের পাশে থাকবো, তা বোঝানোর জন্যই আমরা মাঠে কাজ করছি।”
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সারজিস আলম বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে খুন করেছে। কারণ, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। বিগত তিনবারের মতো এবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগের আশ্রয় নিয়েছে।”
তিনি সবাইকে সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, “আমরা নতুন পথচলায় অভিজ্ঞতা অর্জন করব এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সরকারকে কিছু দাবি জানানো হয়, যার মধ্যে অন্যতম:
চা চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা: সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চা-শিল্পের কৃষকদের শোষণ বন্ধ করতে হবে। চা চাষিরা যেন ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি না থাকে।
সড়ক উন্নয়ন: গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় কাঁচা সড়কগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত পাকা করতে হবে।
সারজিস আলম রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পথসভার ছবি শেয়ার করেন এবং লিখেন, “নতুন পথচলার বাঁকে বাঁকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করব। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলব। জাতীয় নাগরিক পার্টির স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা গ্রামগঞ্জ, হাটবাজার থেকে প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবো।”