ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে একজন আমানতকারী তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগে এই সীমা ছিল ১ লাখ টাকা। নতুন এই পরিবর্তন এনে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি খসড়াটি জনসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং মতামত পাঠানোর ঠিকানা নির্ধারণ করা হয়েছে ds.cb@fid.gov.bd। তবে মতামত জমা দেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়, তাহলে আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ফেরত পাবেন। বাকি অর্থ প্রতিষ্ঠান অবসায়নের (liquidation) মাধ্যমে পরবর্তীতে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এই অধ্যাদেশের আওতায় মূলত ব্যক্তি আমানতকারীরা আসবেন। তবে নতুন অধ্যাদেশে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হবে। পাশাপাশি গঠিত হবে ‘আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ’, যারা এই বিষয়টি তদারকি করবে।
এই পরিবর্তনের ফলে ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং দেউলিয়া ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আমানতকারীরা কমপক্ষে ২ লাখ টাকা তাৎক্ষণিক ফেরত পেয়ে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারবেন।
অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে অনেকে মনে করছেন, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।
নতুন অধ্যাদেশ সম্পর্কে জনসাধারণের মতামত আহ্বান করা হয়েছে। যে কেউ তাদের মতামত ds.cb@fid.gov.bd ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন। তবে কবে নাগাদ এই অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।