মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়, যার জবাবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
গাজা সংঘাতের পর ১৩ মাস ধরে সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্বকে দুর্বল করে দেয়। তবে সম্প্রতি লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়, যার মধ্যে তিনটি প্রতিহত করা হয় এবং বাকিগুলো লেবাননে পড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ডজনের বেশি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহকে রকেট হামলার জন্য দায়ী করলেও, হিজবুল্লাহ এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি। লেবাননের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা লিতানি নদীর উত্তরের এলাকায় তিনটি রকেট লঞ্চার উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছে। তবে এই রকেট হামলার জন্য কে দায়ী, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান ও কামান হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছে। এটি যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় নতুন যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গাজায় হামলার প্রতিউত্তরে গাজা, ইয়েমেন ও লেবানন থেকে একজোটে রকেট হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে।
মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই সংঘর্ষ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি রোধ করা যায় এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।