গাজা, ১৯ মার্চ – ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল মাত্র ২৫ দিনের এক নবজাতক। চারপাশে ধ্বংসযজ্ঞ, ধুলো-বালির স্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিঃশব্দ হয়ে গিয়েছিল সে। তবে অলৌকিকভাবে উদ্ধারকর্মীরা তাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
গাজার খান ইউনিসের বাইরে সীমান্তের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় একটি ভবন ধসে পড়ে। সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিলেন বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মীরা। ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ আটকে আছে কি না, তা খুঁজে দেখছিলেন তারা। এমন সময় কানে আসে ক্ষীণ এক কান্নার শব্দ। মুহূর্তেই উদ্ধারকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আবেগের স্রোত। সবাই একসঙ্গে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিতে থাকেন।
একজন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের গভীরে গিয়ে নবজাতকটিকে খুঁজে বের করেন। কম্বলে মোড়ানো শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, নবজাতকটির নাম ইল্লা ওসামা আবু দাগ্গা। মাত্র ২৫ দিন আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় তার জন্ম হয়েছিল। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সেহরির সময় আকস্মিক ইসরাইলি বিমান হামলায় তার বাবা, মা ও ভাই নিহত হন। পুরো পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়লেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় এই ছোট্ট শিশু।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য হাজেন আত্তার জানান, শিশুটি হামলার পর থেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল। প্রথমে তার কান্নার শব্দ শোনা গেলেও ধীরে ধীরে তা ক্ষীণ হয়ে আসে। অনেকক্ষণ পর আর কোনো আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে আল্লাহর রহমতে শিশুটি জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পুরো উপত্যকা ধ্বংস হয়ে গেছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। এই শিশুটির মতোই অসংখ্য শিশু আজ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।
উদ্ধারের পর নবজাতকটিকে কে আশ্রয় দিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে গাজার পরিস্থিতিতে শিশুটির সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা কতটা সম্ভব হবে