পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বিএনপির সদস্য পদ পাওয়ার পর খুশিতে তিনটি খাসি জবাই করে ভোজের আয়োজন করেছেন এনামুল হাসান নামের এক ব্যক্তি, যিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হাসান বাউফলের কালিশুরী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগ নেতা নেছার উদ্দিন শিকদার ওরফে জামালের চাচাতো ভাই। এছাড়া, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর তার আপন ফুফা।
গত ১৪ মার্চ বাউফলের ২নং কালিশুরী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সদস্য পদ পান এনামুল হাসান। তবে দুইদিন আগে তিনি নিজের বাড়িতে খাসি জবাই করে আয়োজন করেন ভুড়িভোজের, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
স্থানীয়রা জানান, এনামুল দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন বিএনপির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ছিল। সংগঠনের গতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন করে তিনজনকে এসব পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার মধ্যে এনামুল হাসানও আছেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, “স্থানীয় নেতাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই পদগুলো দেওয়া হয়েছে। তবে এনামুল হাসানের রাজনৈতিক অতীত নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, বিএনপির পদ পাওয়া এনামুল হাসান ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার ফুফার রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে জমি দখল, সালিশের নামে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মে যুক্ত ছিলেন।