গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইলের হামলায় নিহত হচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি নারী-শিশু। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইলেও ইসরাইল থামার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না। এর মধ্যেই গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত।
গাজা উপত্যকায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গত দুই দিন ধরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এতে শত শত ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। ইসরাইলি বাহিনী গাজার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচায় আদরাই পূর্ব গাজার বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই এলাকাগুলো হলো—বেইত হানুন, খিরবেত খুজা’আ, আবাসান আল-কাবিরা ও আবাসান আল-জাদিদা।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সতর্কতা জারি করে আদরাই বলেন, “এই এলাকাগুলোতে থাকা বেসামরিক নাগরিকরা জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। দ্রুত তাদের পশ্চিম গাজা সিটি বা খান ইউনিসের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া উচিত।”
তবে অনেক ফিলিস্তিনি এবার নিজেদের এলাকা ছেড়ে যেতে চান না। তারা বলছেন, “আমাদের হারানোর কিছুই নেই। গাজাই আমাদের ঘর, আমরা এখানেই থাকব।”
গাজার এই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।”
ভারতের এই বিবৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত একদিকে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানালেও কৌশলগত কারণে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
ইসরাইলের লাগাতার হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও তেল আবিব সরকার কোনো সমঝোতায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনের জন্য সমর্থন জানাচ্ছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতি না হলে গাজায় আরও ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটতে পারে।