আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অধিকৃত গোলান মালভূমিতে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এর অংশ হিসেবে ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা এবং সামরিক যান মোতায়েন করা হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, মহড়ার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যেতে পারে, তবে এতে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই।
ইসরাইলের সামরিক তৎপরতা শুধু গোলান মালভূমিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অধিকৃত গোলান মালভূমির ভেতর আরও ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি গাজা উপত্যকায়ও নতুন করে হামলা শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বিমান হামলায় শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণহানির রেশ না কাটতেই গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘নতুন স্থল অভিযান’ শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বুধবার (১৯ মার্চ) ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর পুনরুদ্ধারের জন্য সীমিত স্থল অভিযান পরিচালনা করছে।
এনডিটিভি, বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করায় ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
এর আগে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরাইল গাজা উপত্যকার নেতজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল। এই করিডোরটি উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্ত করেছিল। তবে নতুন করে অভিযান শুরু করায় ইসরাইল আবারও গাজায় তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের এই সামরিক পদক্ষেপ গাজায় চলমান সংঘাতকে আরও তীব্র করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।