লক্ষ্মীপুর: ক্রাফট ইন্সপেক্টরদের ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের রাজপথ। পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২১ সালে অনিয়মের মাধ্যমে নন-টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সপেক্টরদের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে ভোকেশনাল শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি হাইকোর্ট এই নিয়োগপ্রাপ্তদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার পক্ষে রায় দেন, যা শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক বলে দাবি করছেন।
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে উত্তর তেমুহনী এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা।
শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিক্ষোভস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পুলিশের আশ্বাসের পর দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং যান চলাচল শুরু হয়।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
1. হাইকোর্টের দেওয়া ১০ম গ্রেডের রায় বাতিল করতে হবে।
2. টেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নন-টেকনিক্যাল ব্যক্তিদের নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
3. শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বিধি সংশোধন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দেন, যদি তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অবরোধ প্রত্যাহারের পরও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।