ঠাকুরগাঁও: প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মিলনের। নিখোঁজের প্রায় এক মাস পর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিত্যক্ত একটি টয়লেট থেকে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের জামালপুর ইউনিয়নের মহেশপুর বিটবাজার এলাকায় অভিযুক্ত অপহরণকারীদের বাড়ির পেছন থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
নিহত মিলন (২২) দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া গ্রামের পানজাব আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছন থেকে অপহরণ করা হয় মিলনকে। চার দিন পর, অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে হত্যা করে অপহরণকারীরা। তবে নিহতের পরিবারকে জানানো হয়, মুক্তিপণের টাকা দিলেই মিলনকে জীবিত ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
পরিবার সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতারকদের হাত থেকে রেহাই পাননি মিলন। মুক্তিপণ আদায়ের পরও তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন—ঠাকুরগাঁও মহেশপুর বিটবাজার এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে সেজান আলী এবং আরাজি পাইকপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মুরাদ।
পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, “অনেক দিন ধরে আমরা এ ঘটনার তদন্ত করছিলাম। কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে প্রযুক্তির সহায়তায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে মিলনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের দেখানো স্থান থেকেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, মিলন অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় তারা তাকে হত্যা করে। অপহরণের পরপরই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় এবং এরপরও তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।