হুতি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে টার্গেটেড আক্রমণ
মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে ইয়েমেনজুড়ে একাধিক স্থানে এই হামলা হয়। মূলত হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সূত্র। বুধবার (১৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইয়েমেনের সামরিক সূত্রে জানা যায়, সা’দা প্রদেশ এবং লোহিত সাগরের বন্দর শহর হোদেইদাহতে হুতি গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে সা’দার আল-সাফরা জেলায় ১০টিরও বেশি হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হুতি পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম আল মাসিরাহ।
বিশ্লেষকদের মতে, সা’দার আল-সাফরা জেলা হুতিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সুরক্ষিত সামরিক ঘাঁটি। সেখানে অস্ত্র মজুত ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকায় এটি হামলার মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এর আগে ইরান-সমর্থিত হুতিরা গাজার ক্রসিং বন্ধের প্রতিবাদে ইসরাইলি মালবাহী জাহাজে হামলার ঘোষণা দেয়। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “ভবিষ্যতে হুতি বিদ্রোহীদের যেকোনো হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হবে এবং তারা কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হবে।”
মার্কিন হামলার পাল্টা জবাবে হুতিরা জানায়, তারা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামানো না হলে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আরও হামলা চালাবে। লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে হামলার পরিকল্পনাও তারা পুনরায় গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের এই ধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে বারবার আহ্বান জানালেও, হুতি গোষ্ঠী তা প্রত্যাখ্যান করেছে। গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা একাধিক সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাত ইয়েমেনের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সংঘাতের সমাধান কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।