গাজা, ১৮ মার্চ: ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার বিমান হামলায় বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজা। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালগুলোর পরিবেশ। ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা—নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, এমনকি ব্যথানাশকও। চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করছেন আহতদের।
গাজার একটি হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক মুস্তাফা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তিনি ইসরাইলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরেন। ভিডিওটি আল জাজিরার সানাদ এজেন্সি যাচাই করেছে।
সারারাত কাজ শেষে ধারণ করা ভিডিওতে ডা. মুস্তাফা বলেন, “আমাদের সব ব্যথানাশক শেষ হয়ে গেছে। আমরা কাউকে শান্ত করতে পারছি না। আহতদের কোনো ব্যথানাশক ওষুধ দিতে পারছি না।”
তিনি আরও জানান, “সাতটি মেয়ের পা কেটে ফেলা হচ্ছে—কোনো অ্যানেস্থেসিয়া নেই। বোমা হামলা এখনো চলছে, পুরো হাসপাতাল কাঁপছে।”
গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে ডা. মুস্তাফা বলেন, আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। “অনেকের শরীর পুড়ে গেছে, কেউ হাত-পা হারিয়েছে, এমনকি কারও মাথাই নেই!”
গাজায় চলমান এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও আন্তর্জাতিক মহল কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, অবিলম্বে সাহায্য না পৌঁছালে আরও অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটবে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় জরুরি চিকিৎসা সরবরাহ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে অবরোধের কারণে সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বনেতাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সূত্র: আল জাজিরা