ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলার পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ বনশ্রীর এক বাসায় পড়াতে যান গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটির মা-বাবা পাশের গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন জাহিদুলকে। পরে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে দ্রুত ঘরে গিয়ে জানতে পারেন, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছেন।
ঘটনার পর শিশুটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৪ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে। ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।”
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।