গাজা, ১৯ মার্চ: যুদ্ধবিরতির আশায় বুক বেঁধেছিল গাজার মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা। তারা ভেবেছিল, দীর্ঘদিনের সংঘাতের পর এবার হয়তো নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করা যাবে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইল। ভয়াবহ বিমান হামলায় গাজার রাস্তাগুলো আবারও রক্তে ভেসে গেল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলের সর্বশেষ এই হামলা গাজার মানুষের দুঃখ-দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ১৭ দিনের অবরোধের পর এমন হামলায় জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগতে থাকা বাসিন্দারা এখন আরও অসহায়।
ইসরাইলের অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ লাখ মানুষের পানির একমাত্র উৎস বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়েছে। নেই জ্বালানি, রান্নার গ্যাস বা ওষুধের ন্যূনতম সরবরাহ। মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে হাজারো রোগী।
যুদ্ধবিরতির কারণে প্রথমবারের মতো বোমাবর্ষণহীন ঈদের আশায় ছিল গাজার শিশুরা। কিন্তু সেই আনন্দ আর দেখা হয়নি তাদের। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আতঙ্কিত শিশুদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। নিরীহ নাগরিকদের ওপর এমন বর্বর আক্রমণে স্তব্ধ বিশ্ব, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ এখনো অনিশ্চিত।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো জরুরি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে।
গাজার এই মানবিক সংকট মোকাবিলায় এখনই বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নিরীহ শিশুদের ঈদের স্বপ্ন বারবার এভাবে রক্তে মিশে যাওয়া কতদিন চলবে? গাজাবাসী এখনো আশায় আছে— হয়তো একদিন তারা শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।
সূত্র: আল জাজিরা