আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় ৩০ দিনের জন্য হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেননি তিনি।
বুধবার (১৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন পুতিন। তবে ৩০ দিনের জন্য সামগ্রিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি, সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা দ্রুত শুরু হবে। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেন থাকবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর পুতিন রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুতিন স্পষ্ট করেছেন, ইউক্রেনের প্রতি বিদেশি সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ না হলে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার দেশ ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধের প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। তবে মঙ্গলবার রাতে রাশিয়া ৪০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
আগামী রোববার (২৪ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দায় এই শান্তি আলোচনার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেন এতে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন আশঙ্কা করছেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সুযোগে ইউক্রেন আরও সৈন্য সংগঠিত করতে পারে। অন্যদিকে, ট্রাম্প ফক্স নিউজকে জানান, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে আলোচনায় কোনো কথা হয়নি।