নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ১৮ মার্চ: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে বিসিবির অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে বিসিবিতে জমা দেন তার পদত্যাগপত্র। তবে এবার বিসিবিতে তার দায়িত্বকালীন অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব তার ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন। অভিযোগ রয়েছে, বিসিবির বিভিন্ন প্রকল্পের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা এখন দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে।
২০১২ সাল থেকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পাপন। দীর্ঘ ১২ বছর তিনি বিসিবির কার্যক্রমের মূল নেতৃত্বে ছিলেন। অনেকে অভিযোগ করেন, এই সময়ে বোর্ডের সব সিদ্ধান্ত প্রায় এককভাবে নিয়েছেন তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পান। তবে ২১ আগস্ট বিসিবির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই তিনি জনসমক্ষে আসছেন না বলে জানা গেছে।
দুদকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিসিবির অর্থ ব্যয়, বিভিন্ন চুক্তি ও তহবিল ব্যবস্থাপনার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিসিবির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ ধরনের তদন্ত জরুরি। দুদকের অনুসন্ধানে যদি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলে, তাহলে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।