নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা মোহাম্মদ রনি ভাইরাল হওয়ার পর চরম বিপাকে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অভিনব বিক্রয় কৌশল ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন সেটাই তার ব্যবসার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রেতাদের চেয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও উৎসুক মানুষের ভিড় এতটাই বেড়েছে যে, প্রকৃত ক্রেতারা তার দোকান এড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিক্রি না হওয়ায় প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ নষ্ট হওয়ার পথে। এই হতাশায় তিনি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।
‘আমারে ভালো রাখেন ভাই, কর্ম করে খাইতে দেন’
রোববার (১৬ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় রনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
“আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু, নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই। আমার দেড় লাখ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি তো ভিডিও করার জন্য না বলি নাই। আমি নিজেও ভিডিও দেই। আপনারা যা বলবেন তাই শুনব, কিন্তু আমারে ভালো রাখেন ভাই। কর্ম করে খাইতে দেন।”
রনির এই আবেগঘন ভিডিও প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন যেন কেউ তার দোকানে অতিরিক্ত ভিড় না করেন। অনেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, রনির অনুমতি ছাড়া তার ভিডিও ধারণ ও প্রচার না করতে।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ভাইরাল হওয়ার কারণে ব্যবসা করতে পারছে না, এটা খুবই দুঃখজনক। দয়া করে তাকে শান্তিতে ব্যবসা করতে দিন।”
অন্য একজন লেখেন, “রনির জন্য একটা সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা দরকার, যেখানে সে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে।”
রনির ঘটনা প্রমাণ করে, ভাইরাল হওয়া সব সময় আশীর্বাদ নাও হতে পারে। একজন সাধারণ ব্যবসায়ী যখন অনাকাঙ্ক্ষিত জনপ্রিয়তার শিকার হন, তখন তার জীবিকা হুমকির মুখে পড়তে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে আরও দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি, বিশেষ করে যখন এটি কারও জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলে।