বাংলাদেশ ফুটবলে নতুন ইতিহাস রচনার অপেক্ষায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডারের।
হামজার পারিবারিক শেকড় বাংলাদেশে হলেও তার জন্ম ইংল্যান্ডের লাফবোরো শহরে। তার বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী ও মা রাফিয়া চৌধুরী—দুজনেই বাংলাদেশি, বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে। শৈশবে বাংলাদেশের আলো-বাতাস না পেলেও কয়েকবার দেশে বেড়াতে এসেছেন তিনি।
ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, লেস্টার সিটি থেকে জাতীয় দলে
মাত্র ৫ বছর বয়সেই ফুটবলে হাতেখড়ি হামজার। লাফবোরো ফুটবল ক্লাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের বিভিন্ন পর্যায়ে নজর কাড়েন তিনি। তার প্রতিভা দেখে লেস্টার সিটি তাকে তাদের একাডেমিতে যুক্ত করে।
লেস্টারের যুব দলে টানা ১০ বছর খেলার পর ২০১৫ সালে মূল দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০২১ সালে লেস্টারের হয়ে এফএ কাপ ও ২০২২ সালে সুপার কাপ জিতে নেন তিনি।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ৭টি ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার ২০২২ সালে প্রকাশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার আগ্রহের কথা জানান। এরপর দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষা শেষে ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে।
বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার তার অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের মাঝমাঠকে আরও শক্তিশালী করতে পারেন বলে আশাবাদী কোচ ও সমর্থকরা।
হামজার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হতে পারে। তার ইউরোপিয়ান অভিজ্ঞতা ও উচ্চমানের ফুটবল দক্ষতা জাতীয় দলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সমর্থকরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কেমন পারফরম্যান্স করেন হামজা চৌধুরী তার স্বপ্নের জার্সিতে। শিলংয়ের ম্যাচ হয়তো হবে বাংলাদেশ ফুটবলের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।