নৈতিক শিক্ষার অভাব: ৮ বছরের শিশুর নিরাপত্তাহীনতা জাতির জন্য লজ্জার
বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, “৮ বছরের একটি শিশুর নিরাপত্তা দিতে না পারা জাতির জন্য চরম লজ্জার বিষয়।”
শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের সমাজে নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে, যার ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এমন এক দেশ চাই যেখানে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না, বরং সবাই নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।” তিনি কুরআনের আলোকে মানবিক বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি রাজনৈতিক মতপার্থক্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকবেই, তবে এর মধ্য দিয়েই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এই মতপার্থক্যের মধ্যেই নিহিত। আমরা চাই দেশপ্রেমিকরা এদেশের জন্য কাজ করুক। ইতিহাস সাক্ষী, দেশপ্রেমিকরাই বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে এ দেশকে রক্ষা করেছে, আর যারা দেশকে ভালোবাসেনি তারা পালিয়ে গেছে।”
এই ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন ফারুক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সবার মাঝে ন্যায়বিচার ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
বক্তারা বলেন, মানবিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য নৈতিক শিক্ষার প্রসার, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক পরিসরে সহনশীলতা দরকার। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে চলা জরুরি।
এমন আলোচনার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কীভাবে একটি নিরাপদ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠন করা যায় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।