ঢাকা, ১৭ আগস্ট ২০২৪: আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এমপক্স নামের ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, যা গত দুই বছরে দ্বিতীয়বার। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে ডব্লিউএইচও এই ঘোষণা দিয়েছে।
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো: ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,১০০ জন, যাদের অধিকাংশই শিশু।
সুইডেন: গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো এমপক্স শনাক্ত হয়। সুইডেনের জনস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি আফ্রিকার একটি দেশে অবস্থানকালে সংক্রমিত হয়েছেন। আফ্রিকার বাইরে এমপক্স শনাক্তের এটিই প্রথম ঘটনা।
বুরুন্ডি: দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৯ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ৬১ জনের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বুরুন্ডিতে এখনো কেউ এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।
রুয়ান্ডা: ৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে চারজনের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। যদিও এ পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
উগান্ডা: উগান্ডায় দুজনের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। উভয়েই দেশের বাইরে থেকে সংক্রমিত হয়েছেন, তবে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান: গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে প্রথম এমপক্স শনাক্ত হয়, পরের দিন আরও দুইজনের মধ্যে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। তারা সবাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরেছিলেন। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করেছে।
কেনিয়া: ২৯ জুলাই দেশটিতে প্রথমবারের মতো একজনের এমপক্স শনাক্ত হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) আফ্রিকার সংক্রমিত এলাকাগুলোয় ভ্রমণকারীদের টিকা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যদিও ইসিডিসি বলেছে, ডব্লিউএইচও-এর বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরও এটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।
এমপক্সের কয়েকটি ধরন রয়েছে, এর মধ্যে ‘ক্লেড ১বি’ নামের একটি ধরন বেশি বিপজ্জনক, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়। ভাইরাসটি সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে ফ্লুর মতো লক্ষণ এবং পরবর্তীতে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, ডব্লিউএইচও