ফুটবল বিশ্বে বিতর্কের ঝড় তুলেছে জুলিয়ান আলভারেজের বাতিল হওয়া পেনাল্টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে টাইব্রেকারে শট নেওয়ার সময় আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারের দুই পায়ে বল স্পর্শ করেছিল কিনা, তা নিয়ে বিভক্ত মতামত। তবে নিয়ম অনুযায়ী রেফারি ভিএআরের সহায়তায় গোল বাতিল করেছেন, যা নতুন করে ফুটবলের নিয়ম পরিবর্তনের ভাবনাকে সামনে এনেছে।
অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে পেনাল্টি শট নেওয়ার সময় আলভারেজের বল স্পর্শের বিষয়টি খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ জোরালোভাবে দাবি করে, তাদের স্ট্রাইকারের শট একবারই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভিএআর বিশ্লেষণে দেখা যায়, বলটি আলভারেজের দুই পায়ে লেগেছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এক খেলোয়াড় দুইবার বল স্পর্শ করলে সেটি ফাউল ধরা হয়, তাই গোল বাতিল হয়।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলেন, “আমি কখনো পেনাল্টি শটের জন্য ভিএআরের সাহায্য নিতে দেখিনি। যারা বল নড়তে দেখেছেন, তারা হাত তুলুন!” তার মন্তব্য আরও বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে উয়েফা এক বিবৃতিতে জানায়, “যদিও সামান্য, তবে শট নেওয়ার আগে খেলোয়াড়ের অন্য পাও বল স্পর্শ করেছিল। আর বর্তমান আইন অনুযায়ী, রেফারির ভিএআরের সহায়তায় গোল বাতিল করাই নিয়মসিদ্ধ।”
তবে একই সঙ্গে উয়েফা ইঙ্গিত দিয়েছে, নিয়ম পর্যালোচনার সম্ভাবনার কথা। তারা জানিয়েছে, বিষয়টি ফিফা ও আইএফএবি (ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড) এর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে অনিচ্ছাকৃতভাবে ডাবল টাচ হলে তা ফাউল হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ম্যাচের রেফারি শিমন মার্চিনিয়াক, যিনি ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা করেছেন, বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম যে, বল আলভারেজের দুই পায়ে লেগেছে। তাই আমি নিজেই ভিএআরের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
এই বিতর্কের পর ফুটবলবিশ্বে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে, পেনাল্টি শটের সময় অনিচ্ছাকৃত ডাবল টাচ ফাউল হিসেবে গণ্য করা উচিত কি না। উয়েফা ও ফিফার আলোচনার পর ভবিষ্যতে এ বিষয়ে নতুন নিয়ম আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।