বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও জনতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত আস-সাবুরের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু।
আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং আরেক সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। এছাড়াও, আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নামও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আস-সাবুর নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য বাসা থেকে বের হন। পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে তার মৃতদেহ বাইপাইল মোড়ে পাওয়া যায়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। মামলার বাদী সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু বলেন, “আমরা সাবুরের মরদেহ উদ্ধারের পর জানতে পারি, ঘটনার দিন এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইল মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল। এসময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর পিটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আমার ভাই আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।”
নিহত আস-সাবুরের বাবার সহযোগিতায় তাকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে।