বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদে বড় ধস নেমেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৩০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩০১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ৬৭% পতন। টেসলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভ, শেয়ারবাজারের ধাক্কা ও স্পেসএক্সের ব্যর্থ উৎক্ষেপণকে এই পতনের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি শিকাগো ও সিয়াটলে টেসলার বিভিন্ন শোরুম, চার্জিং স্টেশন ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। টেসলার বিরুদ্ধে চলমান এই বিক্ষোভের কারণে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
সোমবার একদিনেই টেসলার শেয়ারের দাম ১৫% কমে গেছে, যার ফলে কোম্পানিটি মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ২০২০ সালের পর টেসলার শেয়ারে এত বড় পতন আর দেখা যায়নি। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর টেসলার শেয়ার ৪৭৯ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল, কিন্তু এখন সেটি ৫০% কমে গেছে।
গেল বৃহস্পতিবার স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়, যা চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ উৎক্ষেপণ। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা মাস্কের সামগ্রিক সম্পদের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর, ইলন মাস্ককে মার্কিন প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি ইউএসএআইডির বহু কর্মী ছাঁটাই, বিদেশি সহায়তা বন্ধ এবং কর্মীদের হুমকি দেওয়ার মতো নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে, যার প্রভাব তার ব্যবসায় পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শেয়ারবাজার ও ব্যবসায়িক ধাক্কার পরও ইলন মাস্ক এখনো বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় রয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তার সম্পদের ওপর বড়সড় প্রভাব ফেলেছে।