ঢাকা, ১১ মার্চ: রাজধানীর বাজারে মুরগি ও মাছের দামে স্বস্তি ফিরলেও সবজি ও চালের দাম ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে, একই সঙ্গে মাছের দামও নিম্নমুখী। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে রয়ে গেছে, আর লেবু, শসা ও বেগুনের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত শুক্রবার (৭ মার্চ) ২০০ টাকা ছিল। একই সঙ্গে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমে এখন ২৫০ টাকায় নেমেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় এবং চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় মুরগির দাম কমেছে। যদি এমন পরিস্থিতি বজায় থাকে, তবে রমজানে দাম আর বাড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
মাছের বাজারেও রয়েছে দামের স্বস্তি। রমজানে চাহিদা কম থাকায় প্রায় সব ধরনের মাছের দাম ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে কোন প্রজাতির মাছ কতটা কমেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
মাছ-মাংসের দামের স্বস্তি থাকলেও সবজির বাজারে চরম অস্বস্তি দেখা গেছে। ঢ্যাঁড়স, করলা, সজনে ও পটল কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা দাবি করছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি।
রমজানে চাহিদা বাড়ায় লেবু, শসা ও বেগুনের দামও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে মানভেদে প্রতিটি লেবু ১৬-২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, শসা ৩০-৬০ টাকা এবং বেগুন ৪০-১২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
সবজির মতো চালের দামও চড়া রয়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে মিনিকেট চালের কেজিপ্রতি দাম বেড়ে ৮০-৮৪ টাকায় পৌঁছেছে, যা চার টাকা বেশি। ব্রি-২৮ চাল ১-২ টাকা বেড়ে ৫৮-৬০ টাকায়, আর নাজিরশাইল ৭৬-৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা মনে করেন, আমদানি অব্যাহত রাখলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
মাংস ও মাছের দামে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও সবজি ও চালের দাম নিয়ে ভোক্তারা চরম অসন্তুষ্ট। ক্রেতারা মনে করছেন, বাজারে পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে না আনলে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।