নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর:
জামালপুরের ইসলামপুরে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবীনেওয়াজ খান লোহানীর (বিপুল) বিরুদ্ধে। রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে, যা জানাজানি হলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, দুপুরের দিকে নবীনেওয়াজ খান লোহানী আইএইচটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি অধ্যক্ষকে অপমানজনক মন্তব্য করেন, যা শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।
এ সময় লোহানীর অনুসারী ছাত্রদল নেতা রনি ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থী আশরাফুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, এতে আশরাফুল গুরুতর আহত হন। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত শিক্ষার্থী আশরাফুলের বন্ধু নাজিম জানান, “বিএনপি নেতা লোহানীর নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা রনি ও তার সহযোগীরা আশরাফুলকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যায়। আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা নবীনেওয়াজ খান লোহানী বলেন, “আমি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়াইনি। ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলাম, পরে চলে এসেছি।”
অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমান জানান, “কিছু ইন্টার্ন শিক্ষার্থী ফেল করায় তারা অনৈতিকভাবে তাদের পাস করানোর দাবি করে। কিন্তু এটি নিয়মের বাইরে হওয়ায় আমি রাজি হইনি। পরে তারা বিএনপি নেতা লোহানীর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি ক্যাম্পাসে আসেন। আমি তখন ছাত্রী হোস্টেলে কাজে ব্যস্ত থাকায় অফিস কক্ষ বন্ধ ছিল। তাকে বিকল্প একটি জায়গায় বসানো হয়। কিন্তু তিনি ছাত্রী হোস্টেলে গিয়ে উত্তেজিতভাবে কথা বলতে থাকেন।”
ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
অধ্যক্ষ জানান, “একজন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”