ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি আইএনএস কদম থেকে গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর বিরুদ্ধে। হানি ট্র্যাপে ফেলে সংবেদনশীল এলাকা, ভবনের নকশা, ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। ইতোমধ্যে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান কন্ট্রাক্টরকে ব্যবহার করে পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। ২০২৩ সাল থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘ আট মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ নথি, সংরক্ষিত এলাকার ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেন এবং গোপনে তা পাকিস্তানে পাঠান।
তদন্তে উঠে এসেছে, ওই দুই কন্ট্রাক্টর আইএনএস কদম-এর সিমুলেটর বিল্ডিং-এলাকা, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা ও অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করেছেন। বিনিময়ে প্রতি মাসে ৫,০০০ রুপি করে পেতেন তারা। এভাবে কয়েক মাস ধরে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করা হয়েছে।
১৩,০০০ একরের বেশি এলাকা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত আইএনএস কদম দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এটি ভারতের সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের কৌশল ও মিশন সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে তদন্ত চলছে।
এই ঘটনার ফলে ভারতের সামরিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে নৌবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর ভেতরকার তথ্য সুরক্ষার জন্য আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।