ঢাকা, [তারিখ] – বহুল প্রতীক্ষিত নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে চলতি মাসেই। যদিও দলের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নেতৃত্বে আসছেন বলে জানা গেছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন।
তবে দলের যাত্রা শুরুর আগেই নেতৃত্বের শীর্ষ পদ নিয়ে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে আলোচনায় রয়েছেন।
নতুন দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিরসনে একাধিক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্বের সংকট সমাধানে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব পদ সৃষ্টি করার প্রস্তাব এসেছে। পাশাপাশি আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র—এই চারটি মূল পদের পাশাপাশি নতুন পদ যুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
দলের সদস্য সচিব পদ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। বর্তমান সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে পুনরায় একই পদে রাখার জন্য একটি পক্ষ জোরালো দাবী জানিয়েছে। অন্যদিকে, নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং বর্তমান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই পদে আলোচনায় আছেন।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা চান, নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জনায়েদকে সদস্য সচিব করা হোক।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, “নেতৃত্বকে দুই-তিনজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যোগ্যতমদের সামনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আহ্বায়ক ব্যতীত অন্য কোনো পদ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”