ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: বহুল আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। বিএনপির আইনজীবী আমিনুল ইসলাম রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আজ আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। খালেদা জিয়াকে অপমান ও হয়রানি করতেই এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।”
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতি করেছেন আসামিরা।
পরবর্তীতে, ২০০৮ সালের ৫ মে দাখিল করা অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩,৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মোট ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দিনে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, মামলাটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। ফলে খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
বিএনপি পক্ষ থেকে এই রায়কে রাজনৈতিক হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের জয় বলে অভিহিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, দুদক বলেছে, তারা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে পর্যালোচনা করবে।