খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার মধ্যে দাবি না মানলে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রদল পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে ছাত্রদল পাল্টা অভিযোগে বলছে, ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষের জন্য দায়ী।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি:
১. কুয়েটে ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
2. হামলার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
3. বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে লিখিত আদেশ জারি করতে হবে।
4. আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।
5. সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
রাতেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কুয়েট উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তিনি বলেন, “তোমাদের দাবিগুলো ন্যায্য, আমি সবগুলো মেনে নিচ্ছি। তবে কিছু বাস্তবায়নে সময় লাগবে। সে সময়টা দাও, ইনশাআল্লাহ, সব দাবি পূরণ করব।”
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে কুয়েটের পরিস্থিতি থমথমে, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।