ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: দেশের জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে সেনাসদস্যরা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সেনা সদরের আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং মূল সড়কে ৩০টি অবরোধ প্রতিহত করেছে সেনাবাহিনী।
শিল্পাঞ্চল ছাড়াও গত এক মাসে ৪২টি বিভিন্ন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যার মধ্যে—
১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা
৩টি সরকারি সংস্থা ও অফিস সংক্রান্ত সমস্যা
৯টি রাজনৈতিক সংঘর্ষ
১৬টি অন্যান্য অপরাধমূলক ঘটনা
পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিনের কার্যক্রম দমনেও সেনাবাহিনী সফল ভূমিকা পালন করছে। কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী কুকি-চিনের দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং গত রোববার তাদের দুটি ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুকি-চিনের ভয়াবহতার কারণে এলাকা ছেড়ে যাওয়া ১১টি বম পরিবারের ৮১ জন সদস্য সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজ এলাকায় ফিরে এসেছেন।
সেনাবাহিনীর অভিযানে গত এক মাসে ২,১৪২ জন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। এ সময় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, রাহাজানি ও হত্যার মতো অপরাধ আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে বলে ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়।