টরন্টো, কানাডা: কানাডার বৃহত্তম বিমানবন্দর টরন্টো পিয়ারসনে অবতরণের সময় একটি যাত্রীবাহী বিমান উল্টে গেছে। এতে ৮০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। গুরুতর আহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস থেকে টরন্টো আসছিল। দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সকল যাত্রী ও ক্রুকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে শীতকালীন প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচলে বেশ কিছু বিঘ্ন ঘটছিল, যা দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
কানাডার পরিবহনমন্ত্রী অনিতা আনন্দ টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
বিমানের এক যাত্রী, জন নেলসল, সিএনএনকে জানান যে অবতরণের আগে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, দমকল বাহিনী তুষারে ঢাকা বিমানটিতে পানি ছিটাচ্ছে।
এই দুর্ঘটনার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তর আমেরিকায় আরও দুটি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওয়াশিংটনে একটি সেনা হেলিকপ্টার ও একটি যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হন। এছাড়া, ফিলাডেলফিয়ায় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়।
কানাডার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বিমানটির ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে দেখবেন, অবতরণের সময় কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা মানবিক ভুল ছিল কি না।
টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর কানাডার অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর হওয়ায়, এই দুর্ঘটনার কারণে ফ্লাইট চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।