ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা বাংলাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, রাষ্ট্রায়ত্ত, বিশেষায়িত, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রবেশ করেনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক ও চারটি বিদেশি ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স শূন্য থাকা ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে:
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন: বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)।
বিশেষায়িত ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
বেসরকারি ব্যাংক: কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
বিদেশি ব্যাংক: হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসীদের অধিকাংশই রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী এবং দ্রুত সেবাদানকারী ব্যাংকগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন। কিছু ব্যাংকের সীমিত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা অন্যতম কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য নীতিগত সহায়তা ও প্রণোদনা দিয়ে আসছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স না আসা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
চলতি বছর রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলোর সার্ভিস উন্নয়ন, দ্রুত টাকা প্রেরণের সুযোগ ও প্রণোদনা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকও রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে নিয়মিত নীতিমালা পর্যবেক্ষণ করছে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তাই রেমিট্যান্স প্রবাহকে আরও গতিশীল করতে ব্যাংকিং খাতকে আরও কার্যকর ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে।