ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা যেমন আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে, ঠিক তেমনি আয়নাঘর-ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। ফলে ফ্যাসিবাদী শক্তি চিরকাল জনগণের শত্রু হিসেবেই বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “পুরো বিশ্ববাসী আয়নাঘর দেখেছে, তারপরও ফ্যাসিবাদী শক্তি তা অস্বীকার করে নির্লজ্জ অবস্থান নিচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হবে না। কারণ, আয়নাঘরও আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত হবে, যা ফ্যাসিবাদী শক্তির কালো অধ্যায়কে চিরস্থায়ীভাবে এক্সপোজ করবে।”
তরুণদের শক্তি ও তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা জেগে থাকলে বাংলাদেশ পথ হারাবে না। ঐক্যের শক্তিতে নতুন বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “এই তরুণরাই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশের ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে।”
আয়নাঘরের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্ববাসী ইতোমধ্যেই গণহত্যার প্রমাণ দেখেছে। আয়নাঘরের নির্মম বাস্তবতাও তারা প্রত্যক্ষ করবে। ফলে যারা ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে, তারা কখনোই সফল হবে না।”
উল্লেখ্য, আয়নাঘর নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এটি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির অপরাধ বিশ্বদরবারে প্রকাশ পেলে, তারা চিরকাল জনরোষের সম্মুখীন হবে।