গাজীপুর: টঙ্গীর পূর্ব ও পশ্চিম থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, আটককৃতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
পুলিশ জানায়, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়িতে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে এদের আটক করা হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “গত দুই দিনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, “আটককৃতদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং তাদের দ্রুত আদালতে চালান দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর সদর থানার ধীরাশ্রমস্থ দাক্ষিণখান গ্রামে শতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। এ সময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত এসেছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হলে জনতা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়। এতে ২০ জন গুরুতর আহত হন।
আহতদের বেশিরভাগই স্থানীয় বাসিন্দা এবং শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তবে কী কারণে তারা মন্ত্রীর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল বা এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এ ঘটনার পরপরই টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা পুলিশ ‘ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে। এর অংশ হিসেবে গত দুই দিনে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।