ঢাকা, ১০ জানুয়ারি: অন্তত পাঁচটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তৃতীয় পক্ষের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব প্রতিষ্ঠান ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও, অননুমোদিত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য হস্তান্তর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভার পর ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
ইসি সূত্র জানায়, এনআইডি তথ্য যাচাইয়ের অনুমোদন পাওয়া ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর, ইউসিবি ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস “উপায়”, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস-এর বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইসি সচিব বলেন, “আমরা দেখতে পেয়েছি, যেসব প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট চুক্তির আওতায় এনআইডি যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা ইসির অগোচরে তৃতীয় পক্ষের কাছে এসব তথ্য সরবরাহ করেছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনের শামিল। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তথ্য কীভাবে ফাঁস হলো, সেটি খতিয়ে দেখতে ইসি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। আখতার আহমেদ জানান, “এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে, নাকি অসাবধানতাবশত ঘটেছে, তা প্রযুক্তিগতভাবে যাচাই করা হবে।”
ইসি কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে ভবিষ্যতে এনআইডি যাচাই ব্যবস্থাকে আরও কঠোর ও নিরাপদ করা হবে। এ ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।