পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় নিজের মাকে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আল আমিন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত আল আমিন একসময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তবে পরকীয়ার সম্পর্ক ও মাদকাসক্তির কারণে গত বছর চাকরিচ্যুত হন। এ ছাড়া তার চারিত্রিক সমস্যার কারণে দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আল আমিন তার বাবাকেই দায়ী করতে থাকেন।
রোববার সকালে তিনি চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে তার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা হাতে খুঁজতে থাকেন। এ সময় এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আল আমিন পালিয়ে যান।
পুলিশ চলে যাওয়ার পর আল আমিন আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি তার মাকে সুপারি গাছে বেঁধে বসতঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, “অভিযুক্ত আল আমিন তার মাকে গাছে বেঁধে বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করেছি। তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন।”