ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি: দেশব্যাপী চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এবং অন্যান্য অপরাধ দমন অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১,৫২১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে গ্রেফতার অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শটগান কার্তুজ, ৩টি ছুরি, ৩টি তলোয়ার, ১টি কুড়াল, ১০টি ককটেল, ৮টি লাঠি, ৪টি রড এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ মূলত দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের দমনে পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ১,৩০৮ জন গ্রেফতারের কথা জানানো হয়েছিল, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫২১ জনে।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইংরেজি শব্দ “ডেভিল” অর্থ শয়তান এবং “হান্ট” অর্থ শিকার। ফলে ‘ডেভিল হান্ট’ বলতে সমাজবিরোধী, সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকে বোঝানো হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে একদল ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়। এ ঘটনার পর সরকার দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযান সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে এবং অপরাধীদের দমন করবে।