বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পর্কের সূত্র ধরে এই অর্থপাচারের ঘটনা ঘটেছে।
দুদক মহাপরিচালক আখতার হোসেন জানান, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তে বেশ কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এই তদন্তের মধ্যে এখনও কোনো দেশের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে, তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার হিসেবে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ ওঠে, যা জনগণের বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ নিয়ে বিতর্কের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
দুদক আরও জানায়, ১২টি দেশে এই অর্থপাচারের তদন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে তদন্তে সহায়তা করেছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, পাচারকৃত অর্থ কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, আরও বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তার প্রতি আস্থা প্রদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি এবং তার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ছিলেন। তবে, সরকারের কাজে বিভ্রান্তি এড়াতে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে টিউলিপ সিদ্দিকের কাজের প্রতি নিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং উল্লেখ করেন যে, তার বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দুদকের এই তদন্ত এবং টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশিত হলে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।