ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি:
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির বিস্ফোরক মামলায় আটক বিডিআর সদস্যদের জামিন শুনানি আজ (সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে সকাল সাড়ে নয়টার পর শুরু হয় এ শুনানি।
এখনও জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছেন। সকাল সাড়ে নয়টার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিডিআর সদস্যদের আদালতে আনা হলে স্বজনরা হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দফতরে সংঘটিত ভয়াবহ বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
২০১০ সালে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে মামলাটি কার্যত স্থগিত হয়ে যায়। শুধু হত্যা মামলার বিচারকাজ এগিয়ে নেয় রাষ্ট্রপক্ষ, যার ফলে বিস্ফোরক মামলার বিচারকাজ দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর গত ২৩ জানুয়ারি বিস্ফোরক মামলায় ১৬৮ বিডিআর সদস্য জামিন পান। এরপরই জামিনপ্রাপ্তির আশায় বাকি আসামিদের পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় রয়েছেন। আজকের শুনানিতে নতুন করে জামিন মঞ্জুর হলে দীর্ঘদিন ধরে আটক থাকা আসামিদের মুক্তির পথ প্রশস্ত হতে পারে বলে আশা করছেন তাদের স্বজনরা।
বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসামিদের পরিবার। তাদের দাবি, মামলার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।
বিস্ফোরক মামলার জামিন শুনানিকে ঘিরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আসামির স্বজনরা। তারা আশা করছেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।