ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: আগামীকাল (১০ ফেব্রুয়ারি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন ২০২৫) জন্য নতুন মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতি ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন মুদ্রানীতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, পূর্ববর্তী মুদ্রানীতির কার্যকারিতা ও এর প্রভাব সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা করবেন গভর্নর।
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন মুদ্রানীতিতে এসব বিষয়ে কী ধরনের কৌশল নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে বাজার বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
—
কেন গুরুত্বপূর্ণ নতুন মুদ্রানীতি?
✅ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশল
✅ বিনিয়োগ ও ঋণ প্রবাহ: বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা
✅ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: সামগ্রিক অর্থনীতির গতি বাড়ানোর উদ্যোগ
✅ ডলার সংকট ও রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা: বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা রক্ষা
দেশের অর্থনীতি কতটা স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাবে, তা নির্ভর করছে আসন্ন মুদ্রানীতির সিদ্ধান্তগুলোর ওপর। নতুন নীতি বাস্তবায়নে কতটা সফল হয় বাংলাদেশ ব্যাংক, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নতুন মুদ্রানীতি আগামী ছয় মাসের জন্য দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে বাস্তবায়ন কৌশলের ওপর। আগামীকাল ঘোষিত নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসে, তা নিয়ে ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষের নজর থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকেই।